আমি চন্দনা।১৯৯৩ সনে জন্ম নেওয়া ঢেকি সদৃশ জীব।জন্ম ক্ষণে মনে হয় গ্রহ নক্ষত্রের ঝগড়া চলছিল।তাদের একে অপরের দেওয়া অভিশাপ গুলো আমার উপর আশীর্বাদ হয়ে ভর করেছিল।আহা কি সপ্ন নিয়েই না জন্মেছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবারে একটি নিভৃত গ্রামে।কি দারুণ ছিল শৈশব কালটা।যেন রং এ রঙিন প্রজাপ্রতিরি জীবন।গ্রামের সহজ সরল বন্ধু।দল বেধে স্কুলে যাওয়া।স্কুলের পাশের বাসার হিংসুটে কাকিমার তেতুল চুরি করে খাওয়া।স্কুলের পাশের পুকুরে বসে থাকা বক মারতে গিয়ে ঝগরাটে আন্টির হাঁস মেরে ফেলা।আহা কি জীবন।কত ভালই না চলছিল।কিন্তু বিধাতার আশীর্বাদ যেন আমার উপর থেকে উঠে যায়।পরিবারের গ্রাম থেকে শহরে আসা আর পাল্টে যেতে থাকা আমার জীবন।সবে হাইস্কুলে পড়ি বুদ্ধির ফুলগাছে মুকুল গজিয়েছে মাত্র।ঠিক তখনই বাবার অসুস্থতা আর আমার কাটতে থাকা দূর্বিসহ জীবনের সূত্রপাত।স্কুলের শিক্ষকদের কটু দৃষ্টি আর গ্রামের মেয়ে হওয়ার জন্য বন্ধুদের মিশতে না চাওয়া আমার জীবটাকে আরো কঠিন করে দেয়।বাবার অবস্থা গুরুতর খারাপ পুরোদমে মানুষিক রোগী।বন্ধুরা বলে পাগলের মেয়ে। আত্মীয় প্রতিবেশী দেরা কছে গুরুত্বহীন হাসির পাত্র।আমার মনটাকে করে তোলে সংকুচিত।জালার উপর বিষফোঁড়া বলে একটা কথা আছেনা।কথাটাকে সত্য করতে মনে হয় তখন শুরু হয় পরাকীয়া।কার জানেন মায়ের যে কিনা সন্তানের অাদর্শ, কষ্টে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।আর আমার, নাই বা বল্লাম সে কথা।আমার সপ্নে রংগিন পৃথিবী ধূসর হয়ে যায়।মুখ বন্ধ করে চোখটা খুলা রেখে চলতে থাকি পথ।পাশ থেকে ভেসে আসে নিন্দুকের কটু কথার ঝাঝালো আওয়াজ।তবুও বেঁচে থাকি ভালো ব্যবহার করি পাল্টে যাওয়া মায়ের সাথে কটু কথা বলা বন্ধুদের সাথে ঘাতে প্রতিঘাতে আঘাত করা প্রতিবেশির সাথে।শুধুই বেঁচে থাকি জন্মের পর আমাকে কোলে নিয়ে গেয়ে ওঠা সেই গানটার জন্য"সোনিয়া হবে প্রফেসার, জিনিয়া হবে ব্যারিস্টার, আমার আম্মু হবে সে যে এফ সি পি এস ডক্টর" কিন্তু ভাবিনি আমার মানুষিক রোগী বাবার সপ্নটা সপ্নই থেকে যাবে।সব হারিয়ে হাজার চেষ্টাও তা পূরণ করতে পারিনি।মুখ থুবড়ে পড়েছি।বাবার পাগলামি, মায়ের বেপরোয়া জীবন, ভাইবোনের আহাজারি,প্রেমিকের প্রতারণা, পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ,বন্ধুদের টিটকেরি,প্রতিবেশি আত্মীয়দের কটুকথা নিঃশেষ করে দেয় আমার মানুষিক শক্তিকে।মেরে ফেলে সপচারি আমার আমিকে।আমি চন্দনা ১৯৯৩ সনে জন্ম নেওয়া সেই চন্দনা ভিতরে মরা মানুষ নিয়ে পচে যাওয়া সমাজে বেঁচে আছি আজ ও।হয়তবা আরো থাকব।কারণ দেহের আত্মহত্যা মহাপাপ মনের নয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কেতকী
'ঢেকি সদৃশ জীব' ব্যাপারটা বুঝিনি। তবে গল্পের চন্দনার জন্যে সহানুভূতি রইলো। নিজেকে ভালোবাসলেই কেবল উঠে দাঁড়ানো সম্ভব। তাই নিজেকে ভালোবাসতে হবে আগে। তবেই সবসমস্যার সমাধান হবে। চন্দনার মতো সবার জন্যে শুভকামনা । গল্পে ভোট রইল।
মেয়েদের নিজেকে এমন ভাবে দেখা উচিত না এবং এমন হওয়ার সুযোগও কাউকে দেয়া ঠিক না।
মেয়েদেরকে ঢেকি নয় 'তরবারী' হিসেবে দেখতে চাই। সব অন্যায় তরবারীর আঘাতে কচুকাটা করবে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।